শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সৈকতে পর্যটকের ভীড় মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

সাইফুল ইসলাম : পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকে ভিড় করছে। কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। অথচ আবারো বাড়তে শুরু করেছে বিশ^ মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব। সৈকতে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে কাটছে তাদের প্রতিটি মুহুর্তে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। মাস্ক পরা নিয়ে নানা অজুহাত দিচ্ছেন পর্যটক আর সৈকতের ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে আবারো প্রশাসনকে নজরদারী বৃদ্ধির দাবী জানাচ্ছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও সৈকতে পর্যটকে ভিড় করেছে। এখনও পর্যটকের পদচারণায় মুখর সৈকতের সবকটি পয়েন্ট। সাগর তীরে সমুদ্রে স্নান, ছবি তোলা ও টিউব নিয়ে গা ভাসিয়ে আনন্দে কাটছে পর্যটকদের প্রতিটি মুর্হুত।
ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে আসা জিয়া কবির নামে এক পর্যটক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিনোদনের স্পট হিসেবে সমুদ্র সৈকতেও নিরাপদ। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজারে ছুটে আসলাম। এখানে পরিবার-পরিজনের সাথে আনন্দ করে দারুণ সময় কাটছে।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই পয়েন্টের প্রবেশদ্বারেই টাঙানো আছে মাস্ক ছাড়া বিচে প্রবেশ করবেন না। এছাড়া আরও একটি সাইনবোর্ডে টাঙানো আছে নানা নির্দেশনা। কিন্তু আগত পর্যটকরা কেউ এই নির্দেশনা পড়ছেন না, কিংবা মাস্কও পরছেন না। এই অবস্থা সৈকতের ব্যবসায়ীদেরও। পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা মাস্ক ব্যবহার না করা নিয়ে দিচ্ছেন নানা অজুহাত।

ফরিদপুর থেকে আসা পর্যটক বাবুল খন্দকার বলেন, মাস্ক আছে কিন্তু হোটেলের রুমে রেখে এসেছি। পরবর্তীতে সৈকতে আসলে পড়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।

আরেক পর্যটক রিয়াজ বলেন, মাস্ক পরা এটা একটা ভাল বিষয়। কিন্তু দেখেন সৈকতে যারা এসেছে তার মধ্যে এক শতাংশ মানুষ মাস্ক পড়েছে। কিন্তু বাকি ৯৯ শতাংশ মানুষ মাস্ক পড়েনি। মাস্ক ছাড়া যে করোনা হবে না এটা কিন্তু বলা যাবে না।

এদিকে সৈকতে জেড স্কী ব্যবসায়ী হারুন বলেন, মাস্ক ব্যবহার করি। কিন্তু সৈকতের পানিতে নেমে একটা ভেসে গেছে। তাই আর পরা হয়নি। কিন্তু উপরে দোকানে গেলে আরেকটা কিনে মুখে ব্যবহার করব।

ফটোগ্রাফার রুবেল বলেন, সৈকতে তো কেউ মাস্ক ব্যবহার করছে না। তাই আমিও ব্যবহার করছি না। আর আমাদের প্রশাসনও কিছু করে না।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888